ধর্ম যার যার উৎসব সবার - এ নীতি পরিহার অপরিহার্য ,

ধর্ম যার যার উৎসব সবার - এ নীতি পরিহার অপরিহার্য  :


সার্বজনীন দূর্গাপূজা শব্দটির অর্থ দাঁড়ায় ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে বিশ্বব্যাপী সকলের জন্য এই দূর্গাপূজা।
সার্বজনীন নাম দিলেই ইসলাম ধর্মে ছোট/বড় কোন প্রকার শিরকই জায়েজ হয়ে যায় না।
ঈমান বাঁচানোর ফিকিরেই 'সর্বজনীন দূর্গাপূজা' শব্দটি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেয়ার প্রয়োজনবোধ করছি।
ওয়াল্লাহি... দূ্র্গাপূজা কেন! ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন ধর্মের কোন উৎসবই আমার উৎসব নয়। আমি মুসলিম। আমার ধর্মে আমার জন্য নির্ধারিত উৎসব রয়েছে। আমি মুসলিম বলেই অন্য কোন ধর্মের রীতি রেওয়াজের অনুকরনও আমি করব না।
কেননা হাদিসে এসেছে,

_'যদি কেউ কোন সম্প্রদায়ের অনুকরন করে, তাহলে সে উক্ত সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত বলে গন্য হবে।

(আবু দাউদ শরীফ, আস সুনান)
.
সুতরাং, মুসলিম ঘরে জন্ম নিয়ে আমার হাশর অন্য ধর্মাবলম্বীদের সাথে হবে তা কি করে সহ্য করব?
অন্য ধর্মাবলম্বীদের তো ভয়ংকর পরিণতি হবে হাশরের দিন।
আল্লাহ তো বলেই দিয়েছেন,
'আর যে ইসলাম ব্যতীত অন্য ধর্ম অন্বেষণ করে তা কখনই তার নিকট হতে গৃহীত হবেনা এবং পরলোকে সে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।'
(সূরা আল-ইমরানঃ৮৫)
.
রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনি বলেছেন, অচিরেই আমার উম্মাতের কিছু লোক মূর্তিপূজা করবে এবং আমার উম্মাতের কিছু লোক মূর্তিপূজারীদের সাথে মিশে যাবে।
(সুনানে ইবনে মাজাহ শরীফঃ অধ্যায় ৩৬ (কিতাবুল ফিতান), হাদীস শরীফ নং ৩৯৫২।
_____ 'ধর্ম যার যার উৎসব সবার' এর মত একটি কুফুরি স্লোগান দিয়ে আমরা তো অনেকেই মূর্তিপূজারীদের সাথে মিশে গেছি! নাউযুবিল্লাহ!
হিন্দুরা তাদের পূজায় নিমন্ত্রন করছে, আর আমরা মুসলিমরাও অতি উৎসাহে সেখানে উপস্থিত হচ্ছি।
উপস্থিত না হতে পারলে আফসোস করছি!
অথচ করার কথা ছিল উল্টো টা...
বন্ধুরা পূজার প্রসাদ এনে দিলে তা হাসি মুখে গলাধঃকরণ করছি।
অথচ ভুলক্রমেও পূজার প্রসাদ মুখে গেলে, গলায় আঙ্গুল দিয়ে বমি করে ফেলে দেয়ার কথা ছিল।
.
উমার ইবনে খাত্তাব (রাঃ) বলেছেন, "তোমরা মুশরিকদের উপাসনালয়ে তাদের উৎসবের দিনগুলোতে প্রবেশ করো না। কারণ সেই সময় তাদের উপর আল্লাহর গযব নাযিল হতে থাকে।"
(বায়হাক্বী)

_______ কতিপয় মুসলিম নামধারী কে পূজায় যেতে অনুৎসাহিত করলে তারা আপনাকে যুক্তি দেখাবে, "পূজায় বেড়াতে যাচ্ছি, পূজা তো আর করতে যাচ্ছি না, আমাদের ঈমান তোমাদের মত এত হালকা না যে পূজা দেখতে গেলে আমাদের ঈমান যাবে।"
হাস্যকর যুক্তি!

সত্যি বলতে ঈমানের অর্থই এরা বুঝেনা।
ঈমান বলতে আসলে কি বুঝায়?
ঈমান অর্থ হল বান্দা নিজেকে আল্লাহর কাছে সমর্পণ করবে, আল্লাহর প্রতিটি আদেশ সন্তুষ্টচিত্তে গ্রহন করবে।
সুতরাং, আল্লাহর প্রতি ঈমান আর আল্লাহর কোন বিধানে আপত্তি একসাথে চলতে পারে না।
তেমনি, রাসূল (স.) এর প্রতি ঈমান আর তাঁর আদর্শের উপর আপত্তি একসাথে চলতে পারে না।
এবং কুরআনের প্রতি ঈমান আর কুরআনের কোনো আয়াত বা বিধানের উপর আপত্তি একসাথে চলতে পারে না।

অনুরূপ, মুখে ঈমানের কথা বলা এবং শিরক উৎযাপন করা একসাথে চলতে পারে না। যদি কেউ তা করে তবে অবশ্যই সে ঈমান ত্যাগ করে মুশরিকদের দলভুক্ত হয়ে গেছে যা সে নিজেও জানে না।
.
আপনি মন্দিরে বেড়াতে গেলেও আল্লাহ তায়ালার কিছুনা, মূর্তিপূজা করতে গেলেও আল্লাহ তায়ালার কিছু না, কিন্তু আপনি নিজেই নিজের আখিরাত কে ধ্বংস করলেন, আপনি মুশরিকদের দলভুক্ত হয়ে গেলেন।
আর যে ব্যক্তিটি আপনাকে শিরক থেকে বেঁচে থাকার অনুরোধ করছে, আপনি শিরক উৎযাপন করলে অথবা না করলে তারও লাভ/ক্ষতি কিছুই হবে না। সে তো কেবল দ্বীনের খাতিরে আপনাকে সচেতন করছে, সে তো কেবল আল্লাহ কে সাক্ষী রেখে আপনার নিকট আল্লাহর বাণী পৌঁছে দিচ্ছে। সুতরাং তাকে শত্রু ভাবার কোন কারন নেই।
সংগৃহিত, লেখিকাঃ মারজানা ইসরাত।

ইসলাম ধর্মের হাদিস সম্পর্কে অল্প কিছু জানুন

■■■ আমাদের প্রথম দায়িত্ব হল ইসলাম কে সঠিক ভাবে জানা এবং আমল করা ও দাওয়াত দেওয়া । ■■■
     

💚💚💚💚💚
প্রশ্নঃ হাদীস কাকে বলে?

উত্তরঃ নবী (সাঃ)এর কথা, কাজ ও সমর্থনকে হাদীস বলে।

প্রশ্নঃ হাদীস কত প্রকার ও কি কি?

উত্তরঃ হাদীস দুপ্রকারঃ মাকবূল (গ্রহণযোগ্য) হাদীস ও (মারদূদ) অগ্রহণযোগ্য হাদীস।

প্রশ্নঃ মাকবূল হাদীস কত প্রকার ও কি কি?

উত্তরঃ মাকবূল হাদীস দুপ্রকারঃ ছহীহ ও হাসান।

প্রশ্নঃ মারদূদ বা অগ্রহণযোগ্য হাদীস কত প্রকার ও কি কি?

উত্তরঃ দুপ্রকারঃ যঈফ (দুর্বল) ও জাল (বানোয়াট)।

প্রশ্নঃ সহীহ হাদীস কাকে বলে?

উত্তরঃ যে হাদীসটি নির্ভরযোগ্য ও পূর্ণ স্মৃতিশক্তি সম্পন্ন বর্ণনাকারী বর্ণনা করেছেন, উহার সনদ পরস্পর সম্পৃক্ত, তার মধ্যে গোপন কোন ত্রুটি নেই এবং উহা শাযও (তথা অন্য কোন অধিকতর নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারীর বর্ণনার বিরোধী) নয় তাকে সহীহ হাদীস বলে।

প্রশ্নঃ প্রসিদ্ধ হাদীস গ্রন্থ কয়টি ও কি কি?

উত্তরঃ ৬টি। সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম, সুনানে তিরমিযী, সুনানে আবু দাউদ, সুনানে নাসাঈ, সুনানে ইবনে মাজাহ।

প্রশ্নঃ সিহাহ সিত্তা বলতে কি বুঝায়?

উত্তরঃ হাদীসের ছয়টি গ্রন্থকে বুঝানো হয়। সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম, সুনানে তিরমিযী, সুনানে আবু দাউদ, সুনানে নাসাঈ, সুনানে ইবনে মাজাহ। (বুখারী ও মুসলিমের সবগুলো এবং অন্য কিতাবগুলোর অধিকাংশ হাদীস বিশুদ্ধ, তাই এগুলোকে একসাথে সিহাহ সিত্তা বা ছয়টি বিশুদ্ধ হাদীস গ্রন্থ বলা হয়)
💚💚💚💚💚
প্রশ্নঃ সহীহ বুখারীতে কতটি হাদীস রয়েছে?

উত্তরঃ ৭০০৮টি। মতান্তরেঃ ৭৫৬৩টি।

প্রশ্নঃ সহীহ মুসলিমে কতটি হাদীস রয়েছে?

উত্তরঃ ৩০৩৩টি।

প্রশ্নঃ সুনানে তিরমিযীতে কতটি হাদীস রয়েছে?

উত্তরঃ ৩৯৫৬টি।

প্রশ্নঃ সুনানে আবু দাউদে কতটি হাদীস রয়েছে?

উত্তরঃ ৫২৭৪টি।

প্রশ্নঃ সুনানে নাসাঈতে কতটি হাদীস রয়েছে?

উত্তরঃ ৫৭৫৮টি।

প্রশ্নঃ সুনানে ইবনে মাজাহতে কতটি হাদীস রয়েছে?

উত্তরঃ ৪৩৪১টি।

প্রশ্নঃ হাদীস গ্রন্থগুলোর মধ্যে কোন কিতাবে সবচেয়ে বেশী হাদীস সংকলিত হয়েছে?

উত্তরঃ মুসনাদে আহমাদে।

প্রশ্নঃ মুসনাদে আহমাদে কতটি হাদীস রয়েছে?

উত্তরঃ ২৭৭৪৬টি।

প্রশ্নঃ ছয়টি প্রসিদ্ধ হাদীস গ্রন্থ ছাড়া আরো ৫টি হাদীস গ্রন্থের নাম উল্লেখ কর?

উত্তরঃ মুসনাদে আহমাদ, মুআত্ত্বা মালেক, দারাকুত্বনী, সুনানে দারেমী, সুনানে বায়হাক্বী।

প্রশ্নঃ রিয়াযুস্‌ সালেহীন কিতাবটির লিখক কে?

উত্তরঃ ইমাম নভবী।

প্রশ্নঃ জাল হাদীস কাকে বলে?

উত্তরঃ যে কথাটি মানুষে তৈরী করেছে, অতঃপর তা নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর নামে চালিয়ে দেয়া হয়েছে, তাকে জাল হাদীস বলে।

প্রশ্নঃ আল্লাহর কুরআনের পর সর্বাধিক বিশুদ্ধতম গ্রন্থ কোনটি?

উত্তরঃ সহীহ বুখারী।

প্রশ্নঃ সহীহ বুখারীর একটি সবচেয়ে প্রসিদ্ধ ভাষ্য (ব্যাখ্যা) গ্রন্থের নাম কি?

উত্তরঃ হাফেয ইবনে হাজার আসকালানী (রহঃ) প্রণীত ফাতহুল বারী।

প্রশ্নঃ কোন দুটি হাদীস গ্রন্থকে সহীহায়ন বলা হয়?

উত্তরঃ সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিম।

প্রশ্নঃ মুত্তাফাকুন আলাইহে বলতে কি বুঝানো হয়?

উত্তরঃ যে হাদীসটি ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম নিজ নিজ গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন, সে হাদীস সম্পর্কে বলা হয় মুত্তাফাকুন আলাইহে।

প্রশ্নঃ সুনানে তিরমিযীর একটি প্রসিদ্ধ ভাষ্য (ব্যাখ্যা) গ্রন্থের নাম উল্লেখ কর?

উত্তরঃ তুহফাতুল আহওয়াযী। লেখকঃ আবদুর্‌ রহমান মুবারকপুরী (রহঃ)।

প্রশ্নঃ সুনানে আবু দাউদের একটি প্রসিদ্ধ ভাষ্য (ব্যাখ্যা) গ্রন্থের নাম উল্লেখ কর?

উত্তরঃ আউনুল মাবূদ। লেখকঃ শামসূল হক আযীমাবাদী (রহঃ)।

প্রশ্নঃ মারফূ হাদীস কাকে বলে?

উত্তরঃ যে হাদীসটি নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর কথা, কাজ বা সমর্থন হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে তাকে মারফূ হাদীস বলে।

প্রশ্নঃ মাওকূফ হাদীস কাকে বলে?

উত্তরঃ যে হাদীসটি কোন সাহাবীর কথা, কাজ বা সমর্থন বলে উল্লেখ করা হয়েছে, তাকে মাওকূফ হাদীস বলে।

প্রশ্নঃ মাকতূ হাদীস কাকে বলে?

উত্তরঃ যে হাদীসটি কোন তাবেঈর কথা, কাজ বা সমর্থন বলে উল্লেখ করা হয়েছে, তাকে মাক্বতূ হাদীস বলে।

প্রশ্নঃ যঈফ হাদীসের কয়েকটি প্রকার উল্লেখ কর?

উত্তরঃ মুরসাল, মুনকাতে, মুযাল, মুনকার, মাক্বলূব, মুয্‌তারাব ইত্যাদি।

প্রশ্নঃ যঈফ হাদীসের উপর আমল করার হুকুম কি?

উত্তরঃ যঈফ হাদীসের উপর আমল করা উচিত নয়।

প্রশ্নঃ হাদীসের সনদ বলতে কি বুঝায়?

উত্তরঃ হাদীস বর্ণনার সময় বর্ণনাকারীদের সিলসিলা বা ধারাবাহিকভাবে তাদের নাম উল্লেখকে সনদ বলা হয়।

প্রশ্নঃ হাদীসের মতন কাকে বলা হয়?

উত্তরঃ হাদীসের মূল বক্তব্যটিকে মতন বলা হয়।

প্রশ্নঃ কোন খলীফার যুগে সর্বপ্রথম হাদীস কিতাব আকারে লিপিবদ্ধ করা শুরু হয়?

উত্তরঃ খলীফা ওমর বিন আবদুল আযীযের (রহঃ) যুগে।

প্রশ্নঃ হাদীসের গ্রন্থ জগতে সর্বপ্রথম কোন কিতাবটি লিপিবদ্ধ করা হয়?

উত্তরঃ মুআত্ত্বা ইমাম মালেক। এতে ১৭০০টি হাদীস লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।
💚💚💚💚💚
প্রশ্নঃ ইমাম বুখারী কখন মৃত্যু বরণ করেন?

উত্তরঃ ২৫৬ হিঃ

প্রশ্নঃ ইমাম মুসলিম কখন মৃত্যু বরণ করেন?

উত্তরঃ ২৬১ হিঃ

প্রশ্নঃ ইমাম তিরমিযী কখন মৃত্যু বরণ করেন?

উত্তরঃ ২৭৯ হিঃ

প্রশ্নঃ ইমাম নাসাঈ কখন মৃত্যু বরণ করেন?

উত্তরঃ ৩০৩ হিঃ

প্রশ্নঃ ইমাম আবু দাউদ কখন মৃত্যু বরণ করেন?

উত্তরঃ ২৭৫ হিঃ

প্রশ্নঃ ইমাম ইবনে মাজাহ কখন মৃত্যু বরণ করেন?

উত্তরঃ ২৭৩ হিঃ

প্রশ্নঃ ইমাম বুখারীর প্রকৃত নাম কি?

উত্তরঃ মুহাম্মাদ বিন ইসমাঈল বুখারী (রহঃ)।

প্রশ্নঃ ইমাম মুসলিমের প্রকৃত নাম কি?

উত্তরঃ মুসিলম বিন হাজ্জাজ নিশাপুরী (রহঃ)।

প্রশ্নঃ ইমাম তিরমিযীর আসল নাম কি?

উত্তরঃ মুহাম্মাদ বিন ঈসা তিরমিযী (রহঃ)।

প্রশ্নঃ ইমাম নাসাঈর নাম কি?

উত্তরঃ আহমাদ বিন শুআইব নাসাঈ (রহঃ)।

প্রশ্নঃ ইমাম আবু দাউদের নাম কি?

উত্তরঃ আবু দাউদ সুলাইমান ইবনে আছআছ সিজিসতানী (রহঃ)।

প্রশ্নঃ ইমাম ইবনে মাজাহর নাম কি?

উত্তরঃ মুহাম্মাদ বিন ইয়াযীদ ইবনে মাজাহ কাযবীনী (রহঃ)


বিঃদ্রঃ- ভুল হলে ক্ষমাপ্রার্থনা করছি আল্লাহ্ তায়ালার কাছে এবং আপনাদের কাছে ।



                             ❤❤❤❤❤
    আল্লাহ্ তায়ালা আমাদের সকলকে পরিপূর্ণ ইসলাম              জানার এবং মানার তাওফীক দান করুন

                          আমীন আমীন আমীন 

ইসলাম কে জানুন এবং ভন্ডদের থেকে দূরে থাকুন

ইসলাম কে জানুন  এবং   ভন্ডদের থেকে দূরে থাকুন ।

আমাদের সকলকে ইসলাম পরিপূর্ণ জানতে হবে,  এবং আল্লাহ্ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন করার চেষ্টা করতে হবে,

■■■ ভাল করে লক্ষ্য করুন, ইসলাম শব্দের অর্থ হচ্ছে,  নিজের ইচ্ছা কে আল্লাহ্ তায়ালার আনুগত্যের উপর নিবেদন করা ।
■■■ অনেক ভাই মনে করেন যে ইসলাম অর্থ শান্তি । না ভাই এটা ভুল ধারণা । তবে ইসলাম মানার মধ্যে শান্তি এটা ঠিক আছে ।
■■■ যে ব্যক্তি আল্লাহ্ তায়ালার আনুগত্যের উপর নিজেকে নিবেদন করে, তাকে মুসলিম বলে । অর্থাৎ ইসলাম কে কবুল করনে ওয়ালা ।

■■■ ভুলে যাবেন না , যে আপনি একজন মুসলিম,  আপনার উপর আল্লাহ্ তায়ালা কি কি বিধান দিয়েছেন তা আপনার প্রথমে জানতে হবে, এবং আমল করতে হবে ।

■■■ মনে রাখবেন ■■■  আল্লাহ্ তায়ালা সকল মানুষ কে সর্ব প্রথম যে আদেশ করেছেন, পড় তোমার রবের নামে যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন । সূরা আলাক আয়াত নাম্বার 1

■■■ যেহেতু আল্লাহ্ তায়ালা আমাদের সকলকে পড়তে বলেছেন, তাই আমাদের প্রথম কাজ হবে, ইসলাম কে জানা ।

❤❤❤
কথা ছিল ইসালাম কে জানুন ভন্ডদের দূরে থাকুন

আজকের বিষয় আল্লাহ্ তায়ালার সরণ তথা যিকির সম্পর্কে
❤❤❤❤❤
দলিল প্রমাণ


সূরা আ'রাফ আয়াত 205

সরণ কর তোমার রব কে তোমার অন্তরে ভিতকম্পিত হয়ে ক্রন্দনরত হয়ে
এবং লুকায়িত ভাবে উচ্চ সরে নয় তোমার কথা   (অর্থাৎ যিকির) সকাল ও সন্ধ্যায় আর তুমি গাফেলদের মধ্যে থেকে হইয়ো না ।

সূরা আ'রাফ আয়াত 55


তোমরা ডাক তোমাদের রব কে ক্রন্দনরত ভিতকম্পিত হয়ে এবং লুকায়িত ভাবে,  নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তায়ালা সিমা লংঙ্ঘন কারীদের কে ভালবাসেন না ।

💚💚💚💚💚

মোটকথা উচ্চ আওয়াজ করে যিকির করাই যাবে না।

যদি কেউ করে তাহলে সে আল্লাহ্ তায়ালার বিধান হুকুম মানে না ।
দলে দলে হোক বা একা একা উচ্চ আওয়াজ করে যিকির করাই যাবে না ।

নবিজী সঃ এর হাদিস শরীফেও নিষেধাজ্ঞা আছে ।
তাঁর দলিল প্রমাণ আছে আমার নিকট ।

কুরআন পড়ুন । কুরআন বুঝার চেষ্টা করুন ।
এবং আপনার জিবন কে আল্লাহ্ তায়ালার আনুগত্যের উপর পরিচালিত করুন  ।


    আল্লাহ্ তায়ালা আমাদের সকলকে পরিপূর্ণ ইসলাম             জানার এবং মানার তাওফীক দান করুন


                       আমীন আমীন আমীন





কুরআনের অর্থ যেভাবে করতে হয় ।

আল্লাহ্ তায়ালা আমাদের সকলকেই বিবেক বুদ্ধি দিয়েছেন  ।  এখন এই বিবেক বুদ্ধি সঠিক ভাবে কাজে লাগালেই হবে ।
■■■ সর্ব প্রথম একটা জিনিস মনে রাখতে হবে , যে আপনার মধ্যে জ্ঞান অর্জন করার মত পিপাসা থাকতে হবে, এবং সেই সাথে থাকতে হবে বিচক্ষণতা,  এবং মন মানসিকতায় উদার হতে হবে ।
■■■ আরেকটা বিষয় মনে রাখতে হবে,  সর্ব প্রকার সমর্থন পাওয়া যায় এমন অর্থ করতে হবে । অর্থাৎ কুরআন সুন্নাহ দিয়ে এমন সমন্বয় করা । যা সবার কাছে গ্রহণ যোগ্যতা পায় ।
■■■ আসল কথা আমি এখানে কুরআন মাজিদের অর্থ  কিভাবে করতে হয় । এবং অর্থ করতে কি কি যোগ্যতা লাগবে । ঐ বিষয়ে তেমন কিছু বলবো না ।
■■■ শুধু এতটুকুই বলবো কুরআন মাজিদ এর অর্থ জানার জন্য যে ধাফ রয়েছে তা নিয়ে আলোচনা করবো ।
■■■♡♡♡■■■

■■■1☆■■■ কুরআনের অর্থ সর্ব প্রথম কুরআন দিয়ে করা ।
■■■2☆■■■ কুরআনের অর্থ নবিজী সঃ এর সুন্নাহ দ্বারা করা ।
■■■3☆■■■ যখন আল্লাহ্ তায়ালার কুরআন থেকে বা নবিজী সঃ এর সুন্নাহ দ্বারা কোন বিষয় অসপষ্ট থাকে । অর্থাৎ ঐ আয়াত এর সঠিক কি অর্থ হবে , তখন দেখতে হবে সাহাবায়ে কিরামগণ ঐ আয়াতের কি অর্থ করেছেন,  বা ঐ আয়াতের উপর কিভাবে আমল করেছেন ।
■■■4☆■■■ যদি কোন আয়াতের অর্থ উপরের 3 প্রকারের কোনটার মাধ্যমে পষ্ট না হয় । তখন তাবি তবেতাবী গণ কি অর্থ করেছেন তা দেখতে হবে ।

卐卐卐■■■卐卐卐

বিশেষ ভাবে লক্ষ্য করুন

কুরআনের  আয়াতের অর্থ । যে কোন তাফসীর এর কিতাব এ থাকুক, বা যে কোন ইসলামি বইয়ের মধ্যে থাকুক, ভাল করে গবেষণা না করে, কাউকে বলাও যাবে না এবং আমল ও করা যাবে না ।

■■■ এক বিষয়ের উপর কয়েকটি তাফসীর দেখতে হবে। সর্ব নিম্ন 5টির অধিক

■■■ আপনাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি ।  যে বিশ্ব বিখ্যাত তাফসীর এর মধ্যে সর্ব প্রথম গ্রহণ করবেন ।
তাফসীরে ইবনে কাছির
তাফসীর  বাইজাবি শরীফ
তাফসীরে জালালাইন
তাফসীরে বয়ানুল কুরআন
তাফসীরে মা'রেফুল কুরআন
তাফসীরে তাফহিমুল কুরআন


যে কোন বইয়ের কথা বা যে কোন ( হুজুর ) আলেম মুফতি মুহাদ্দিস এর কথা কুরআন হাদিস এর রেফারেন্স ছাড়া ভুলেও যেন গ্রহণ না করি ।

 ■■■ বিঃদ্রঃ    ভুল হলে ক্ষমাপ্রার্থনা করছি আল্লাহ্ তায়ালার কাছে এবং পাঠকদের কাছে  ।


    আল্লাহ্ তায়ালা আমাদের সকলকে পরিপূর্ণ ইসলাম            জানার এবং মানার তাওফীক দান করুন

                       আমীন আমীন আমীন


আপনি মুসলিম কিন্তু আপনার এই বিষয়টি জানা আছে কি ???

আল্লাহ্ তায়ালা আমাদের জন্য ইসলাম এর যে বিধান দিয়েছেন তা বান্দাদের জন্য সহজ করেই দিয়েছেন
কিন্তু আমরা ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে সঠিক ভাবে অনেক কিছুই জানি না । তাই আমাদের অনেকের কাছে ইসলাম কে জানাও হয় না  এবং মানাও হয় না ।

■■■  যাই হোক আজকের আলোচনা ইনশাআল্লাহ সালাম সম্পর্কে করবো

■■■ আল্লাহ্ তায়ালা আমাদের সকলকে কুরআন মাজিদে বলছেন পারা 5 পৃষ্ঠা নাম্বার 10
■■■ যখন কেউ  তোমাদের কে অভিবাদন জানায় অর্থাৎ সালাম দেয় তখন তোমরা উত্তম রুপে অভিবাদন জানাও অর্থাৎ সালাম এর উত্তরটা সুন্দর এবং বর্ধিত করে দিও ( আল্লাহ্ তায়ালা বলতে চাইতেছেন যে , যদি তুমি অলস হও ) তাহলে   أو ردو ها তোমাকে যতটুকু দিয়েছে কমছেকম অতটুকু ফেরত দিও


■■■ প্রমাণ কুরআনের আয়াত এ আছে আর আমাদের নবিজী সঃ বলেছেন কেউ যদি তোমাকে السلام عليكم বলে • তুমি وعليكم السلام ورحمة الله বলিও
কেউ যদি السلام عليكم ورحمة الله বলে • তুমি وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته বলবে । আর এটাই হচ্ছে ইসলামি বিধান অনুযায়ী সালাম । এখন আমাদের সমাজের কিছু মানুষ কে দেখা যায় যারা সালামের শেষে وجنته    وهدايته   ومغفرته  ইত্যাদি শব্দ যোগ করে , এটা মনগড়া এটার কোন ভিত্তি কুরআন মাজিদে এবং নবিজী সঃ এর তরিকার মধ্যে পাওয়া যায় না ।

■■■ সালাম  প্রসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ যে কথাটি না বল্লেই নয়
তা হল , পায়ে ধরে সালাম করাটা কতটুকু শরিয়ত সমর্থিত । এক কথায় জোর গলায় বলা যায় যে
এটা আসলে কুরআন হাদিসের কোথাও নাই ।
☆☆☆ ( কোন ভাই যদি প্রমাণ দিতে পারেন ইনশাআল্লাহ মেনে নিব ) ☆☆☆

আমি যতটুকু জানতে পেরেছি এটা হিন্দুসম্প্রদায়ের চরিত্র
আমাদের মুসলিমদের এভাবে পায়ে ধরে সালাম করাটা ঠিক নয় ।
কেহ কেহ বলেছেন, ওস্তাদের কে ,বাবা মা কে , দাদা দাদী কে , নানা নানী কে , শশুর শাশুড়ি কে , পায়ে ধরে সালাম করা যায় । এটা সঠিক নয় এটা সম্পূর্ণ ভুল  ধারণা ।
■■■ আমাদের সকলকে মনে রাখতে হবে যে পৃথিবীর মধ্যে সব চাইতে বেশি নবিজী সঃ কে সাহাবায়ে কিরামগণ  রঃ অনুসরণ অনুকরণ করেছেন,  এবং প্রাণের চেয়ে অধিক মুহাব্বত করতেন । তাহারা কি কখনো নবিজী সঃ কে পায়ে ধরে সালাম করেছেন  ???
■■■ আপনার যদি জানা থাকে তাহলে অবশ্যই দলিল প্রমাণ সহকারে জানাবেন ইনশাআল্লাহ মেনে নিব ।


       আল্লাহ্ তায়ালা আমাদের সকলকে পরিপূর্ণ        ইসলাম জানার এবং মানার তাওফীক দান করুন

                         আমীন আমীন আমীন

মুসলিম হলে ইসলাম কে জানতেই হবে

■■■ আল্লাহ্ তায়ালা আমাদের সকলকে বলেছেন
যে ولله الأسماء الحسنى فادعوه بها - আল্লাহ্ তায়ালার জন্য সুন্দর সুন্দর নাম আছে অতয়েব ঐ নাম গুলি ধরেও আমাকে ডাকিও   সূরা আ'রাফ আয়াত 180
■■■ আল্লাহ্ তায়ালা আমাদের সকলকে বলেছেন
যে ادعونى استجب لكم  আল্লাহ্ তায়ালা বলেন তোমরা আমাকে ডাক আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিব
■■■ নবিজী সঃ বলেছেন   الدعاء هو العبادة  দুয়াই ইবাদত
■■■ নবিজী সঃ বলেছেন  عن ابى هريرة رضي الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم  ان لله تعالى تسعة و تسعين  اسما من احصا ها دخل الجنة
■■■ হযরত আবু হুরায়রাহ রঃ বলেন নবিজী সঃ বলেছেন আল্লাহ্ তায়ালার নিরানব্বই টি নাম আছে যে ব্যক্তি উহা মুখস্থ করিবে সে জান্নাতে প্রবেশ করিবে

 ♡♡♡    আল্লাহ্ তায়ালার নিরানব্বই টি নাম   ♡♡♡                         هو الله الذي لا الاه الا هو      
         
            الرحمن الرحيم الملك القدوس السلام
       
              المؤمن المهيمن العزيز الجبار المتكبر

          الخالق البارئ المصور الغفار القهار الوهاب

             الرزاق الفتاح العليم القابض الباسط

               الخافض الرافع المعز المذل السميع

               البصير الحكم العدل اللطيف الخبير

               الحليم العظيم الغفور الشكور العلى

            الكبير الحفيظ المقيت الحسيب الجليل

             الكريم الرقيب المجيب الواسع الحكيم

        الودود المجيد الباعث الشهيد الحق الوكيل

        القوى المتين الولى الحميد المحصى المبدئ

         المعيد المحي المميت الحى القيوم الواجد

          الماجد الواحد الأحد الصمد القادر المقتدر

           المقدم المؤخر الأول الأخر الظاهر الباطن

            الوالى المتعالى البر التواب المنتقم العفو

             الرؤوف مالك الملك ذوالجلال والإكرام

                المقسط الجامع الغنى المغنى المانع

                 الضار   النافع  النور  الهادئ   البديع

                   الباقى   الوارث  الرشيد  الصبور


     আল্লাহ্ তায়ালা আমাদের সকলকে পরিপূর্ণ ইসলাম          জানার এবং মানার তাওফীক দান করুন

                     আমীন আমীন আমীন



অধিকাংশ মুসলিম মিথ্যা বলে

 বলা হয়েছে যে অধিকাংশ মুসলিম মিথ্যা বলে
 এটা কেমন কথা ।
 না পরিপূর্ণ না পড়লে আপনি বিষয়টি ভুল বুঝতে পারেন ।
কেন এমন করে বলেছি , বলছি !


আল্লাহ্ তায়ালা আমাদের সকলকে কুরআন মাজিদে বলছেন হে নবী আপনি বলে দিন, যদি তারা আমাকে     ( আল্লাহ্ তায়ালা )   কে ভালবাসতে চায় তাহলে তারা যেন আপনার অনুসরণ অনুকরণ করে  ( নবিজী সঃ কে অনুসরণ অনুকরণ করলে কি হবে ) আমি  তাঁদের কে ভালবাসবো এবং  তাদের  গুনাহ গুলি আমি ক্ষমা করে দিবো ।

❤❤❤ হাফেজি কুরআন অনুযায়ী পারা 3 পৃষ্ঠা নাম্বার 13 সূরা  আল ইমরান
আয়াত নাম্বার 31 ❤❤❤

■■■ যে কারণে এভাবে বলেছিলাম আপনি যে কোন মুসলিম কে জিজ্ঞাসা করুন যে ভাই আপনি আল্লাহ্ তায়ালা কে   নবিজী সঃ কে   ভালবাসেন  ? সে অবশ্যই বলবে হ্যাঁ ভালবাসি । কিন্তু লক্ষ করুন আল্লাহ্ তায়ালা বলেছেন যে আমাকে যারা ভালবাসে তারা যেন আমার রাসূল কে অনুসরণ অনুকরণ করে , এটা আল্লাহ্ তায়ালার শর্ত যদি ভালবাসেন ♡ আল্লাহ্ তায়ালার কথা অনুযায়ী নবিজী সঃ কে অনুসরণ অনুকরণ করলে আপনি সত্যবাদী
আর যদি মুখে বলেন ভালবাসি কিন্তু বাস্তবে আল্লাহ্ তায়ালা যেভাবে বলেছেন এইভাবে আপনি নবিজী সঃ কে অনুসরণ অনুকরণ করেন না  তাহলে আপনি মিথ্যাবাদী

■■■ আরেকটু ব্যাখ্যা করে বলি
মনে করুন যে আপনি একটি মেয়ে কে আপনি ভালবাসেন বলে দাবি করছেন • এখন ঐ মেয়ে আপনাকে  যদি বলে যে আপনি এভাবে চলতে   এভাবে চলতে হবে এবং ঐ মেয়ের কথা অনুযায়ী যদি আপনি চলেন  • তাহলে সত্যিই আপনি মেয়েটা কে ভালবাসেন, বলাই যায় । আর তখন মেয়েটাও আপনাকে ভালবাসবে ।
ঠিক তেমনিই ভাবে আল্লাহ্ তায়ালার কথাটা  একটু চিন্তা করে দেখুন, ভুল বল্লাম কিনা ???
■■■ এভাবে আল্লাহ্ তায়ালা
 
❤❤❤ পারা 29 পৃষ্ঠা নাম্বার 3 সূরা কলাম আয়াত নাম্বার 4 এ বলেছেন ❤❤❤

নিশ্চয়ই আপনার চরিত্র মহান ।

অন্য আয়াত এ বলেন    ❤❤❤  পারা 21 পৃষ্ঠা নাম্বার 19  সূরা আহযাব আয়াত নাম্বার 21 ❤❤❤

তোমাদের জন্য উত্তম আদর্শ হচ্ছে আল্লাহ্ তায়ালার রাসূল সঃ এর আদর্শ ।

❤❤❤ পারা 28 পৃষ্ঠা নাম্বার 5 সূরা হাশর আয়াত নাম্বার 7 ❤❤❤

তোমাদের রাসূল তোমাদের কাছে যাহা কিছু নিয়ে এসেছে , তোমরা তা শক্ত করে ধর । ( অর্থাৎ আমল কর যেভাবে বলেছেন সেভাবে ) আর যে গুলি থেকে নিষেধাজ্ঞা করেছেন , তা থেকে বিরত থাক ।


এভাবে অনেক হাদিসও রয়েছে
সব দলিল প্রমাণ দিলে কলাম লম্বা হয়ে যাবে
তাই সংক্ষেপে এতটুকু লিখলাম ।


    আল্লাহ্ তায়ালা আমাদের সকলকে পরিপূর্ণ ইসলাম              জানার এবং মানার তাওফীক দান করুন
   
                           আমীন আমীন আমীন



কিছু মুসলিম অনর্থক একটা বিষয় কে খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে করে

                      بسم الله الرحمن الرحيم

আল্লাহ্ তায়ালা কুরআন মাজিদে কত সুন্দর করে অনেক বিষয় বিস্তারিত বলেছেন আর কিছু  বিষয় একটু অসপষ্ট করে রেখেছেন  এই অসপষ্ট করার হিকমত একমাত্র আল্লাহ্ তায়ালাই ভাল জানেন 
■■■ এখন এমন একটি বিষয়ে কথা বলতে আগ্রহী প্রকাশ করছি, যাহা হয়তো খুব কম মুসলিম জানে শুধু মাত্র আলেম গণ এই বিষয় গুলি জানেন 
■■■ যাই হোক আলোচনা শুরু করছি আমরা মুসলিম ধর্মের অনুসরণ কারীরা কি জানি যে মুসলিম সম্প্রদায়ের নামের শুরুতে মুহাম্মাদ অর্থাৎ আমরা যেটা সংক্ষেপে মোঃ দিয়ে লিখে থাকি তা কি শরিয়ত সমর্থিত অর্থাৎ আল্লাহ্ তায়ালা বা আমাদের নবিজী (সঃ) বলেছেন কি  ??? নামের শুরুতে এই মুহাম্মাদ বা মোঃ যেটাই লিখি না কেন 
■■■ আসল কথা শুরু করছি বাংলাদেশ এ আরো 50 বছর পূর্বে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ এক সঙ্গে বসবাস করত তখন অনেক মুসলিম হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের কাছ থেকে জায়গা জমি ক্রয় করতেন নামের মধ্যে পার্থক্য করার জন্য মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের নামের শুরুতে মোঃ
যুক্ত করা শুরু হয়েছে  এটা মূলত কোন সাওয়াব এর কাজ নয় 
■■■ কাহারো মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে আপনার কথা সঠিক কিভাবে বুঝবো  ???  শুনুন বলছি আমাদের নবিজী (সঃ) কে সব চাইতে বেশি অনুসরণ অনুকরণ করেছেন একমাত্র সাহাবায়ে কিরামগণ ওনাদের নামের শুরুতে কখনও কি পেয়েছেন •মুহাম্মদ আবু বক্কর রঃ
• হযরত ওমর ফারুক রঃ • হযরত উসমান গনি রঃ
পাবেন না অনেক সাহাবায়ে কিরামদের নাম হাদিসের কিতাবে বা ইতিহাস এর বিভিন্ন কিতাবে আছে কোথাও 
মুহাম্মদ সহ নাম পাবেন না তবে কিছু কিছু মানুষের নাম ছিল মুহাম্মাদ আহমাদ মুহাম্মদ উল্লাহ  তাতে অসুবিধা নাই 

আল্লাহ্ তায়ালা আমাদের সকলকে পরিপূর্ণ ইসলাম জানার এবং মানার তাওফীক দান করুন 

আমীন আমীন আমীন 

অনেক মুসলিম ভুল বুঝেন যে বিষয়টি

আমাদের মুসলিম সম্প্রদায়ের অনেক বংশ পরিবার বা গোত্র এমন আছে যে
■■■ ইসলাম  সম্পর্কে তারা অনেক কিছুই জানে না ।
■■■ ইসলাম  কাকে বলে ।
■■■ ইসলাম ধর্মের মূল বিষয় কি ।
■■■ আল্লাহ্ তায়ালা আমাদের কি কি আদেশ করেছেন ।
■■■ আল্লাহ্ তায়ালা কি কি নিষেধ করেছেন ।
■■■ ইসলাম ধর্মের মধ্যে কিছু বিষয় আছে যা পালন করা প্রত্যেক মুসলিমের উপর আবশ্যক তথা ফরজ
■■■ মুসলিমদের অনেকেই এই ভুল ধারণা করেন যে (নামাজ  পড়া )  (রোজা  রাখা)   (হজ্জ করা)  (যাকাত  আদায়  করা)  (সদকাহ  দান করা)  (যিকির করা)  (কুরআন মাজিদ তিলাওয়াত করা)   শুধু এগুলো কেই
ইবাদত মনে করে থাকেন । কিন্তু এটা ভুল  আসল সঠিক কথা হচ্ছে
■■■ ইসলাম ধর্মের মধ্যে যে বিষয় গুলি আল্লাহ্ তায়ালা এবং আমাদের নবিজী (সঃ) পালন করার জন্য বলেছেন তাহাই পালন করা এবং যাহা নিষেধ করেছেন তাহাই না করা অর্থাৎ নিষিদ্ধ কাজ গুলি না করা এটাই ইবাদত
☆☆☆■■■☆☆☆
এখানে একটু ব্যাখ্যা না করলে অনেকেই ভুল বুঝতে পারেন
আমাদের নবিজী (সঃ) বলেছেন, যে স্ত্রীর সঙ্গে মিলন করলে সদকাহ করার মত সাওয়াব পাওয়া যায় সাহাবায়ে কিরাম গণ প্রশ্ন করলেন ইয়া রাসূল আল্লাহ্
ওখানে তো দুজন দুজনের তৃপ্তি মিটানো হয়
নবিজী (সঃ) বল্লেন যে এ কাজটা যদি তুমি অন্য কাহারো সংঙ্গে করলে তোমার গুনাহ হত না ???
সাহাবায়ে কিরামদের গণ বল্লেন জ্বি হ্যাঁ ইয়া রাসূল আল্লাহ্ • তখন নবিজী (সঃ) বল্লেন তাহলে স্ত্রী মিলন করলে সাওয়াব হবে না কেন  ???
এই হাদিস দ্বারা আপনারা অবশ্যই বুঝতে পারছেন যে আল্লাহ্ তায়ালা এবং আমাদের নবিজী (সঃ) যাহা করতে বলেছেন তাহা করা যেমন ইবাদত ঠিক তেমনিই ভাবে নিষিদ্ধ কাজ থেকে দূরে থাকাটাও ইবাদত

আমি আপনাদের সামনে ছোট ছোট করে কিছু কলাম দিচ্ছি এই কারণে যে আমরা সাধারণত বেশির ভাগ লোক  বেশি বড় কলাম পড়তে আগ্রহী নই
তাই

আল্লাহ্ তায়ালা আমাদের সকলকে পরিপূর্ণ ইসলাম জানার এবং মানার তাওফীক দান করুন
আমীন আমীন আমীন 

মুসলিমদের জন্য এই বিষয় গুলি জানা খুব জরুরি

মুসলিম সম্প্রদায়ের ভালো কারা এবং মন্দ কারা আসুন জেনে নেওয়া যাক !

❤❤❤ হাফেজি কুরআন অনুযায়ী পারা নাম্বার 1 পৃষ্ঠা নাম্বার 5 সূরা বাকারাহ্ আয়াত নাম্বার 34 ❤❤❤
আল্লাহ্ তায়ালা যখন হযরত আদম (আঃ) কে সৃষ্টি করেছেন এবং সকল ফেরেশতাদের কে আদেশ করলেন ।
যে সকলেই আদম কে সিজদাহ্ কর 
আল্লাহ্ তায়ালার আদেশ মত সকল ফেরেশতা হযরত আদম (আঃ) কে সিজদাহ্ করেছেন ।
কিন্তু আজাজিল ফেরেশতা সেজদাহ্ করে নাই 
অর্থাৎ ইবলিস শয়তান ।
❤❤❤ হাফেজি কুরআন অনুযায়ী পারা নাম্বার 14 পৃষ্ঠা নাম্বার 3 সূরা হিজর আয়াত নাম্বার 34 এবং 35 ❤❤❤
আল্লাহ্ তায়ালা  ইবলিস শয়তান কে বল্লেন বের হও এখান থেকে নিশ্চয়ই তুমি বিতাড়িত  (গোমরাহ্ পথভ্রষ্ট)
❤❤❤ হাফেজি কুরআন অনুযায়ী পারা নাম্বার 14 পৃষ্ঠা নাম্বার 3 সূরা হিজর আয়াত নাম্বার 39 এবং 40 ❤❤❤
তখন ইবলিস শয়তান আল্লাহ্ তায়ালা কে বল্লেন
হে আমার রব আমায় যে কারণে পথভ্রষ্ট করেছেন , আমি দুনিয়ার মধ্যে   দুনিয়ার সৌন্দর্য, রং তামাসা যত প্রকার অন্যায় অপরাধ পাপ আছে তা দিয়ে  সকল বনী আদম  কে পথভ্রষ্ট গোমরাহ্ করবো ,
ইবলিস শয়তান এবার নিজের মুখে বলছেন কিন্তু আপনার সৎ লোকদের কে আমি পথভ্রষ্ট গোমরাহ্ করতে পরবো না।

💚💚💚💚💚💚💚💚💚💚💚💚💚💚💚💚💚

এখন আমাদের জানা দরকার সৎ লোক কারা এবং তাদের চরিত্রের গুণাগুণ গুলি কি ??❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤
হাফেজি কুরআন অনুযায়ী পারা নাম্বার 18 পৃষ্ঠা নাম্বার 1 সূরা মু'মিনূন আয়াত নাম্বার 1 থেকে 11 পর্যন্ত এখানে কিছু গুণাবলি বর্ণনা করা হয়েছে ।
❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤

হাফেজি কুরআন অনুযায়ী পারা নাম্বার 19 পৃষ্ঠা নাম্বার 4 এবং 5 , সূরা ফুরক্বান আয়াত নাম্বার 62 থেকে 77 পর্যন্ত  
❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤
মুসলিম ভাই বোন সকলেই এই আয়াত গুলির উপর  আমল  করা   খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।

    আল্লাহ্ তায়ালা আমাদের সকলকে পরিপূর্ণ ইসলাম              জানার এবং মানার তাওফীক দান করুন ।


                           আমীন আমীন আমীন 

মুসলিম ফেসবুক ব্যবহারকারীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ পোষ্ট্ ,

মুসলিম ফেসবুক ব্যবহারকারীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ পোষ্ট্
💖💖💖💖💖 ইসলাম শব্দের অর্থ হচ্ছে
নিজের ইচ্ছা কে আল্লাহ্ তায়ালার আনুগত্যের উপর নিবেদন করা ।
অনেক লোকই জানে না যে আসলে ইসলাম অর্থ কি ?
অনেক এ মনে করেন যে ইসলাম অর্থ শান্তি,
না ইসলাম অর্থ শান্তি নয় ।
■■■■ ইসলাম মানার মধ্যে শান্তি
যাই হোক আসল কথায় আসি উপরে বলা হয়েছে মুসলিম ফেসবুক ব্যবহারকারীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ পোষ্ট্
আমাদের মুসলিমদের মধ্যে অনেক লোক আছে যে তাঁরা কিছু কিছু কারণে
■■■■ ইসলাম কে  সঠিক ভাবে জানা হয় না ।
■■■■ যার কারণে সঠিক ভাবে ইসলাম মানাও
হয় না ।
💚💚💚
আল্লাহ্ তায়ালা আমাদের সকলকে কুরআন মাজিদে কি কি হুকুম (আদেশ)  করেছেন তাও আমরা সঠিক ভাবে জানি না ।
■■■■ যেমন আমাদের মুসলিমদের অনেকেই বিভিন্ন  মাঝহাব এর মাধ্যমে ইসলাম কে পালন করে থাকেন
■■■■ এখন দেখুন আমাদের মুসলিমদের মাঝে এমন কিছু লোক আছে যারা ইসলামি বিষয়ে তেমন জ্ঞান রাখেন না, কিন্তু তাঁরাও ইসলামের অনেক বিষয় নিয়ে কথা বলে, নিজের ইচ্ছা মত ।
■■■■ যেমন  মাঝহাব অনুসারীদের কেউ কেউ
■■■■ যারা নিজেদের কে আহলে হাদিস এর অনুসারী বলে দাবি করে তাদের কে
খারাপ খারাপ ভাষায় গালিগালাজ করে আবার খারাপ খারাপ  ব্যাংঙ্গ ছবি দিয়ে মন্তব্য করে  ।
■■■■ ঠিক তেমনিভাবে আহলে হাদিসের অনুসারী বলে যারা দাবি করে তারা মাঝহাব অনুসারীদের কে খারাপ খারাপ ভাষায় গালিগালাজ করে আবার খারাপ খারাপ ব্যাংঙ্গ ছবি দিয়ে মন্তব্য করে ।
■■■■ এখন উভয় পক্ষের এমন আচরণ কুরআন       হাদিস কি সমর্থন করে  ???

   💛💛💛💛💛💛💛💛💛💛💛💛💛💛💛💛💛

পরিস্কার ভাবে বলা যায় কখনই না
 ❤❤❤♡♡♡♡♡■■■■■♡♡♡♡♡❤❤❤
তাহলে এখন জানতে হবে এ বেপারে কুরআন হাদিস কি বলে ।
💗💗💗 হাফেজি কুরআন অনুযায়ী
❤❤❤ পারা  15 পৃষ্ঠা নাম্বার 8
সূরা বানী ইসরাইল আয়াত নাম্বার 70 ❤❤❤

এখানে বলা হয়েছে  অতয়েব আমি  (আল্লাহ্ তায়ালা ) বনী আদম কে সম্মানিত করেছি এখন আপনারা সকলেই বুঝতে পারছেন যে আল্লাহ্ তায়ালা যেখানে বনী আদম কে সম্মানিত করেছেন । তাই আমরা সকলেই যখন যেখানে যে কোন মানুষের সাথে কথা বলবো সুন্দর ভাষায় ভালো ব্যবহার দিয়ে কথা বলবো
■■■
💗💗💗 আরেকটি আয়াত রয়েছে  ❤ পারা 14 পৃষ্ঠা নাম্বার 20
সূরা নাহল আয়াত নাম্বার 125 ❤
মানুষদের কে আল্লাহ্ তায়ালার রাস্তায় ডাক হিকমার সাথে এবং উত্তম নসিহতের মাধ্যমে


💗💗💗 আরেকটি আয়াত রয়েছে ❤ পারা 26 পৃষ্ঠা নাম্বার 15
সূরা হুজুরাত আয়াত নাম্বার 11❤

হে ঈমানদার গণ তোমরা কোন কোউম কোন কোউম কে উপহাস করবে না তিরস্কার করবে না । হতে পারে যে উপহাস করছে বা তিরস্কার করছে        
 তার চাইতে যাকে উপহাস বা তিরস্কার করা হচ্ছে   ঐ  ব্যক্তি তোমাদের মধ্যে হতে উত্তম


              বিঃদ্রঃ =💜 ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন
                  সংশোধন করার নিয়তে জানাবেন 💜

    আল্লাহ্ তায়ালা আমাদের সকলকে পরিপূর্ণ ইসলাম              জানার এবং মানার তাওফীক দান করুন


                        আমীন আমীন আমীন





এক নজরে মাহে রমজান

এক নজরে মাহে রমজান :
হে ঈমানদারগণ, তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে। যেমন ফরজ করা হয়েছিলো তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের উপর। যেন তোমরা পরহেযগারী অর্জন করতে পার।
সূরা- বাকারা, আয়াত- ১৮৩।

রোজার গুরুত্ব :
রাসুল (সাঃ) বলেছন রমজান মাসে আমার উম্মত কে পাঁচটি নিয়ামত দান করা হয়েছে যা আগের উম্মতকে দেওয়া হয়নি -
(১) রোজাদারের মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহর কাছে মেশকের চেয়ে বেশী ঘ্রানযুক্ত
(২) ইফতার পর্যন্ত রোজাদারের জন্য ফেরেশতারা দোয়া করেন 
(৩) রোজাদারের জন্য প্রতিদিন জান্নাতকে সজ্জিত করা হয়
(৪) শয়তানকে বন্দি করা হয়
(৫) রমজানের শেষ রাতে সকল উম্মতকে মাফ করা হয়।

রোজার মর্যাদা ও উপকারিতা:
১) জাহান্নাম থেকে রক্ষা পাওয়ার ঢাল
২) জান্নাতে যাওয়ার উৎকৃষ্টতম উপায় এবং রাইয়ান নামক বিশেষ দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ
৩) গুনাহ মোচনের অন্যতম মাধ্যম
৪) রোজা কিয়ামতের দিন মুমিন ব্যক্তির জন্য শুপারিশকারী হবে
৫) রোজার পুরষ্কার আল্লাহ নিজ হাতে প্রদান করবেন
৬) রোজার মাধ্যমে আচার-আচরণ ও চরিত্র সুন্দর হয়
৭) রোজা মানুষকে আখেরাত মুখী করে
৮) সামাজিক সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্ব বোধ সৃষ্টি করে
৯) এটি আল্লাহ ও বান্দার মাঝে নিতান্ত গোপন ইবাদত তাই এর মাধ্যমে আল্লাহ ও বান্দার মাঝে সম্পর্ক দৃঢ়তর হয়
১০) আল্লাহর ইবাদতের এক অভূতপূর্ব ট্রেনিং স্বরুপ।

Welcome To Our Website

Welcome To Our Website :
In this website You will get Islamic Information, Islamic News, History if Islam, Definition of Islam and All Kinds of Questions and Answer About Islam...  Keep visiting for latest update.

আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম । এ ওয়েবসাইটে আপনি পাবেন ইসলামিক তথ্য, ইসলামিক খবর, ইসলামের ইতিহাস, ইসলামের সংজ্ঞা এবং ইসলাম সম্পর্কিত সব ধরনের প্রশ্ন এবং উত্তর ।   সর্বশেষ আপডেট পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন । 

Popular Posts

একটু চিন্তা করুন ।

                      أعوذ بالله من الشيطان الرجيم                           بسم الله الرحمن الرحيم                 সকল মুসলিম ভাই বোন ক...

Search This Blog

Followers