ধর্ম যার যার উৎসব সবার - এ নীতি পরিহার অপরিহার্য :
সার্বজনীন দূর্গাপূজা শব্দটির অর্থ দাঁড়ায় ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে বিশ্বব্যাপী সকলের জন্য এই দূর্গাপূজা।
সার্বজনীন নাম দিলেই ইসলাম ধর্মে ছোট/বড় কোন প্রকার শিরকই জায়েজ হয়ে যায় না।
ঈমান বাঁচানোর ফিকিরেই 'সর্বজনীন দূর্গাপূজা' শব্দটি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেয়ার প্রয়োজনবোধ করছি।
ওয়াল্লাহি... দূ্র্গাপূজা কেন! ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন ধর্মের কোন উৎসবই
আমার উৎসব নয়। আমি মুসলিম। আমার ধর্মে আমার জন্য নির্ধারিত উৎসব রয়েছে। আমি
মুসলিম বলেই অন্য কোন ধর্মের রীতি রেওয়াজের অনুকরনও আমি করব না।
কেননা হাদিসে এসেছে,
_'যদি কেউ কোন সম্প্রদায়ের অনুকরন করে, তাহলে সে উক্ত সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত বলে গন্য হবে।
(আবু দাউদ শরীফ, আস সুনান)
.
সুতরাং, মুসলিম ঘরে জন্ম নিয়ে আমার হাশর অন্য ধর্মাবলম্বীদের সাথে হবে তা কি করে সহ্য করব?
অন্য ধর্মাবলম্বীদের তো ভয়ংকর পরিণতি হবে হাশরের দিন।
আল্লাহ তো বলেই দিয়েছেন,
'আর যে ইসলাম ব্যতীত অন্য ধর্ম অন্বেষণ করে তা কখনই তার নিকট হতে গৃহীত হবেনা এবং পরলোকে সে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।'
(সূরা আল-ইমরানঃ৮৫)
.
রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনি বলেছেন, অচিরেই আমার
উম্মাতের কিছু লোক মূর্তিপূজা করবে এবং আমার উম্মাতের কিছু লোক
মূর্তিপূজারীদের সাথে মিশে যাবে।
(সুনানে ইবনে মাজাহ শরীফঃ অধ্যায় ৩৬ (কিতাবুল ফিতান), হাদীস শরীফ নং ৩৯৫২।
_____ 'ধর্ম যার যার উৎসব সবার' এর মত একটি কুফুরি স্লোগান দিয়ে আমরা তো অনেকেই মূর্তিপূজারীদের সাথে মিশে গেছি! নাউযুবিল্লাহ!
হিন্দুরা তাদের পূজায় নিমন্ত্রন করছে, আর আমরা মুসলিমরাও অতি উৎসাহে সেখানে উপস্থিত হচ্ছি।
উপস্থিত না হতে পারলে আফসোস করছি!
অথচ করার কথা ছিল উল্টো টা...
বন্ধুরা পূজার প্রসাদ এনে দিলে তা হাসি মুখে গলাধঃকরণ করছি।
অথচ ভুলক্রমেও পূজার প্রসাদ মুখে গেলে, গলায় আঙ্গুল দিয়ে বমি করে ফেলে দেয়ার কথা ছিল।
.
উমার ইবনে খাত্তাব (রাঃ) বলেছেন, "তোমরা মুশরিকদের উপাসনালয়ে তাদের উৎসবের
দিনগুলোতে প্রবেশ করো না। কারণ সেই সময় তাদের উপর আল্লাহর গযব নাযিল হতে
থাকে।"
(বায়হাক্বী)
_______ কতিপয় মুসলিম নামধারী কে পূজায় যেতে
অনুৎসাহিত করলে তারা আপনাকে যুক্তি দেখাবে, "পূজায় বেড়াতে যাচ্ছি, পূজা তো
আর করতে যাচ্ছি না, আমাদের ঈমান তোমাদের মত এত হালকা না যে পূজা দেখতে গেলে
আমাদের ঈমান যাবে।"
হাস্যকর যুক্তি!
সত্যি বলতে ঈমানের অর্থই এরা বুঝেনা।
ঈমান বলতে আসলে কি বুঝায়?
ঈমান অর্থ হল বান্দা নিজেকে আল্লাহর কাছে সমর্পণ করবে, আল্লাহর প্রতিটি আদেশ সন্তুষ্টচিত্তে গ্রহন করবে।
সুতরাং, আল্লাহর প্রতি ঈমান আর আল্লাহর কোন বিধানে আপত্তি একসাথে চলতে পারে না।
তেমনি, রাসূল (স.) এর প্রতি ঈমান আর তাঁর আদর্শের উপর আপত্তি একসাথে চলতে পারে না।
এবং কুরআনের প্রতি ঈমান আর কুরআনের কোনো আয়াত বা বিধানের উপর আপত্তি একসাথে চলতে পারে না।
অনুরূপ, মুখে ঈমানের কথা বলা এবং শিরক উৎযাপন করা একসাথে চলতে পারে না।
যদি কেউ তা করে তবে অবশ্যই সে ঈমান ত্যাগ করে মুশরিকদের দলভুক্ত হয়ে গেছে
যা সে নিজেও জানে না।
.
আপনি মন্দিরে বেড়াতে গেলেও আল্লাহ তায়ালার
কিছুনা, মূর্তিপূজা করতে গেলেও আল্লাহ তায়ালার কিছু না, কিন্তু আপনি নিজেই
নিজের আখিরাত কে ধ্বংস করলেন, আপনি মুশরিকদের দলভুক্ত হয়ে গেলেন।
আর যে
ব্যক্তিটি আপনাকে শিরক থেকে বেঁচে থাকার অনুরোধ করছে, আপনি শিরক উৎযাপন
করলে অথবা না করলে তারও লাভ/ক্ষতি কিছুই হবে না। সে তো কেবল দ্বীনের খাতিরে
আপনাকে সচেতন করছে, সে তো কেবল আল্লাহ কে সাক্ষী রেখে আপনার নিকট আল্লাহর
বাণী পৌঁছে দিচ্ছে। সুতরাং তাকে শত্রু ভাবার কোন কারন নেই।
সংগৃহিত, লেখিকাঃ মারজানা ইসরাত।