@ আসুন দেখি, তাদের প্রমাণগুলো কি সত্যি :
:
:
1/ যারা বলেন, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নূরের তৈরী তারা সাধারণত সূরা মায়েদার ১৫ নং আয়াত দ্বারা দলীল প্রদান করেন।
:
আয়াতটিতে বলা হয়েছে, قَدْ جَاءَكُمْ مِنَ اللَّهِ نُورٌ وَكِتَابٌ مُبِينٌ
:
" তোমাদের কাছে আল্লাহর পক্ষ হ’তে ‘নূর’ এবং স্পষ্ট গ্রন্থ এসেছে "
(সূরা মায়েদা, আয়াত-১৫)।
:
কুরআনের সব চেয়ে বড় মুফাসসির হলেন স্বয়ং আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা। তিনি ‘নূর’ শব্দটিকে কি কি অর্থে ব্যবহার করেছেন এবং তাঁর প্রিয় হাবীব মুহম্মাদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ব্যাখ্যায় কি বলেছেন তা জানা আমাদের জন্য অতীব যরূরী।
:
দুঃখজনক হ’লেও সত্য যে, যারা নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নূরের তৈরী প্রমাণ করতে চান তারা উক্ত আয়াতটি পেশ করেন। কিন্তু আয়াতটির তাফসীর করার ক্ষেত্রে তারা আল্লাহ এবং মুহাম্মাদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দেওয়া ব্যাখ্যাকে সম্পূর্ণভাবে বর্জন করেন।
:
মহান আল্লাহ ‘নূর’ দ্বারা কি বুঝিয়েছেন তা আমরা নিম্নোক্ত আয়াতে কারীমাসমূহ দ্বারা অনুধাবন করতে পারবো ইনশাআল্লাহ।
:
আয়াত-১ : আল্লাহ বলেছেন, اللَّهُ وَلِيُّ الَّذِينَ آمَنُوا يُخْرِجُهُمْ مِنَ الظُّلُمَاتِ إِلَى النُّورِ
" যারা ঈমান এনেছে আল্লাহ তাদের ওলী। তিনি তাদেরকে যুলুমাত তথা অন্ধকার হ’তে নূরের প্রতি বের করেন "
(সূরা আল-বাক্বারা,আয়াত-২৫৭)।
:
:
হাফেয জালালুদ্দীন সুয়ূত্বী বলেছেন, {الَّذِينَ آمَنُوا يُخْرِجهُمْ مِنْ الظُّلُمَات} الْكُفْر {إلَى النُّور} الْإِيمَان
:
অর্থাৎ নূরের প্রতি বলতে ঈমানের প্রতি বের করে এনেছেন (তাফসীরুল জালালাইন পৃঃ ৫৬)।
:
অত্র আয়াত দ্বারা দু’ টি বস্তু জানা গেল-
:
(ক) এখানে নূর দ্বারা ঈমানকে বুঝানো হয়েছে। এর মানে কিন্তু এই নয় যে, ঈমান নামের একটি বস্তু আছে যেটিকে আল্লাহ ‘নূর’ দ্বারা সৃষ্টি করেছেন।
:
:
আয়াত-২ : আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা বলেছেন, وَآتَيْنَاهُ الْإِنْجِيلَ فِيهِ هُدًى وَنُورٌ আর আমি তাকে ইনজীল দান করেছি। যেখানে আছে হেদায়াত এবং নূর (সূরা আল-মায়েদা, আয়াত-৪৬)।
:
আয়াত- ৩ : কুরআনে বলা হয়েছে, الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ وَجَعَلَ الظُّلُمَاتِ وَالنُّورَ ث সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য। যিনি আসমান এবং যমীন সৃষ্টি করেছেন। এবং অন্ধকার ও নূর (আলো) সৃষ্টি করেছেন (সূরা আন‘আম, আয়াত-১)।
:
ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূত্বী রহেমাহুল্লাহ বলেছেন, {وَجَعَلَ} خَلَقَ {الظُّلُمَات وَالنُّور} أَي كُلّ ظُلْمَة وَنُور
:
অর্থাৎ তিনি প্রতিটি অন্ধকার এবং আলো সৃষ্টি করেছেন (তাফসীরুল জালালাইন, অত্র আয়াতের তাফসীর দ্রঃ)।
:
এখানে সাধারণ আলো, চাঁদ-সূর্যের ইত্যাদির আলোর কথা বলা হয়েছে।
:
:
:
2/ তাদের মতে রাসূল সাঃ নাকি গায়েব জানতো,
দলিল :
:
'
" তিনি সেই ফেরেশতাকে প্রকাশ্য দিগন্তে দেখেছেন।"
:
[সূরা তাকভীর, আয়াত :23]
:
:
@ রাসূল (সাঃ) ফেরেস্তা দেখতেই পারেন , কারণ তিনি ছিলেন রাসূল আর নবী-রাসূলের কাছে ফেরেস্তা আগমণ করে,
:
এ আয়াত দিয়ে কীভাবে প্রমাণ হয় যে, রাসূল (সাঃ) গায়েব জানতেন ??
:
:
@ মহান আল্লাহ বলেন :
:
1/ " আপনি বলে দিন, আমি আমার নিজের কল্যাণ সাধনের এবং অকল্যাণ সাধনের মালিক নই, কিন্তু যা আল্লাহ চান।
.
আর আমি যদি গায়বের কথা জেনে নিতে পারতাম, তাহলে বহু মঙ্গল অর্জন করে নিতে পারতাম, ফলে আমার কোন অমঙ্গল কখনও হতে পারত না। আমি তো শুধুমাত্র একজন ভীতি প্রদর্শক ও সুসংবাদদাতা ঈমানদারদের জন্য। "
:
:
[সূরা আল আ’রাফ , আয়াত সংখ্যা : 188]
:
:
2/ " বলুন, আল্লাহ ব্যতীত নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে কেউ গায়বের খবর জানে না এবং তারা জানে না যে, তারা কখন পুনরুজ্জীবিত হবে। "
:
[সূরা নমল, আয়াত সংখ্যা : 65]
:
:
@ অতএব কুরআনের আয়াত অনুযায়ী বুঝা যায়, রাসূল (সাঃ) গায়েব জানতো না,
:
মহান আল্লাহ রাসূল (সাঃ) কে যতটুকু জানাতেন, তিনি ততটুকুই জানতেন,
:
:
:
:
3 নং অংশের ক্ষেত্রে যুক্তি :
:
@ তাদের মতে নবী (সাঃ) নাকি হাজির নাজির, দলিল হল (সূরা আহযাব, আয়াত : 45)
:
:
মহান আল্লাহ বলেন :
:
" হে নবী! আমি আপনাকে সাক্ষী, সুসংবাদ দাতা ও সতর্ককারীরূপে প্রেরণ করেছি। "
:
[সূরা আল আহযাব, আয়াত সংখ্যা : 45]
:
:
@ এ আয়াত কি তাদের যুক্তি প্রমাণ করে ??
:
রাসূল (সাঃ) কে আল্লাহ রাসূল হিসেবে প্রেরণ করেছেন এবং তিনি এসেছেন 1400 বছর আগে,
:
এখানে সে সময়ে আগমণকেই বুঝানো হচ্ছে,
:
:
:
4 নং অংশের যুক্তি : মিলাদ নাকি জায়েয,
:
@ এখন দেখবো, ঐ আয়াতে কী আছে,
:
মহান আল্লাহ বলেন :
:
" আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাগণ নবীর প্রতি রহমত প্রেরণ করেন। হে মুমিনগণ! তোমরা নবীর জন্যে রহমতের তরে দোয়া কর এবং তাঁর প্রতি সালাম প্রেরণ কর। "
:
[সূরা আল আহযাব, আয়াত সংখ্যা : 56]
:
:
এই আয়াত কীভাবে মিলাদকে সমর্থন করে ?
:
আপনারাই বলুন, মিলাদ যেখানে শেখ সাদির কবিতা
:
--- " বালাগাল উলা বি কামালিহী " -
পড়ে শুরু করা হয়, 😎
:
:
আমরা নামজে দরূদে ইব্রাহিম পড়ি, এর মাধ্যমে রাসূল সাঃ এর জন্য দু'আ করি,
:
:
তবে মিষ্টি বিতড়ন করা, শেখ সাদির কবিতা পড়া,
:
--- এগুলোতো বিদাত,
:
:
:
:
:
1/ যারা বলেন, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নূরের তৈরী তারা সাধারণত সূরা মায়েদার ১৫ নং আয়াত দ্বারা দলীল প্রদান করেন।
:
আয়াতটিতে বলা হয়েছে, قَدْ جَاءَكُمْ مِنَ اللَّهِ نُورٌ وَكِتَابٌ مُبِينٌ
:
" তোমাদের কাছে আল্লাহর পক্ষ হ’তে ‘নূর’ এবং স্পষ্ট গ্রন্থ এসেছে "
(সূরা মায়েদা, আয়াত-১৫)।
:
কুরআনের সব চেয়ে বড় মুফাসসির হলেন স্বয়ং আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা। তিনি ‘নূর’ শব্দটিকে কি কি অর্থে ব্যবহার করেছেন এবং তাঁর প্রিয় হাবীব মুহম্মাদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ব্যাখ্যায় কি বলেছেন তা জানা আমাদের জন্য অতীব যরূরী।
:
দুঃখজনক হ’লেও সত্য যে, যারা নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নূরের তৈরী প্রমাণ করতে চান তারা উক্ত আয়াতটি পেশ করেন। কিন্তু আয়াতটির তাফসীর করার ক্ষেত্রে তারা আল্লাহ এবং মুহাম্মাদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দেওয়া ব্যাখ্যাকে সম্পূর্ণভাবে বর্জন করেন।
:
মহান আল্লাহ ‘নূর’ দ্বারা কি বুঝিয়েছেন তা আমরা নিম্নোক্ত আয়াতে কারীমাসমূহ দ্বারা অনুধাবন করতে পারবো ইনশাআল্লাহ।
:
আয়াত-১ : আল্লাহ বলেছেন, اللَّهُ وَلِيُّ الَّذِينَ آمَنُوا يُخْرِجُهُمْ مِنَ الظُّلُمَاتِ إِلَى النُّورِ
" যারা ঈমান এনেছে আল্লাহ তাদের ওলী। তিনি তাদেরকে যুলুমাত তথা অন্ধকার হ’তে নূরের প্রতি বের করেন "
(সূরা আল-বাক্বারা,আয়াত-২৫৭)।
:
:
হাফেয জালালুদ্দীন সুয়ূত্বী বলেছেন, {الَّذِينَ آمَنُوا يُخْرِجهُمْ مِنْ الظُّلُمَات} الْكُفْر {إلَى النُّور} الْإِيمَان
:
অর্থাৎ নূরের প্রতি বলতে ঈমানের প্রতি বের করে এনেছেন (তাফসীরুল জালালাইন পৃঃ ৫৬)।
:
অত্র আয়াত দ্বারা দু’ টি বস্তু জানা গেল-
:
(ক) এখানে নূর দ্বারা ঈমানকে বুঝানো হয়েছে। এর মানে কিন্তু এই নয় যে, ঈমান নামের একটি বস্তু আছে যেটিকে আল্লাহ ‘নূর’ দ্বারা সৃষ্টি করেছেন।
:
:
আয়াত-২ : আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা বলেছেন, وَآتَيْنَاهُ الْإِنْجِيلَ فِيهِ هُدًى وَنُورٌ আর আমি তাকে ইনজীল দান করেছি। যেখানে আছে হেদায়াত এবং নূর (সূরা আল-মায়েদা, আয়াত-৪৬)।
:
আয়াত- ৩ : কুরআনে বলা হয়েছে, الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ وَجَعَلَ الظُّلُمَاتِ وَالنُّورَ ث সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য। যিনি আসমান এবং যমীন সৃষ্টি করেছেন। এবং অন্ধকার ও নূর (আলো) সৃষ্টি করেছেন (সূরা আন‘আম, আয়াত-১)।
:
ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূত্বী রহেমাহুল্লাহ বলেছেন, {وَجَعَلَ} خَلَقَ {الظُّلُمَات وَالنُّور} أَي كُلّ ظُلْمَة وَنُور
:
অর্থাৎ তিনি প্রতিটি অন্ধকার এবং আলো সৃষ্টি করেছেন (তাফসীরুল জালালাইন, অত্র আয়াতের তাফসীর দ্রঃ)।
:
এখানে সাধারণ আলো, চাঁদ-সূর্যের ইত্যাদির আলোর কথা বলা হয়েছে।
:
:
:
2/ তাদের মতে রাসূল সাঃ নাকি গায়েব জানতো,
দলিল :
:
'
" তিনি সেই ফেরেশতাকে প্রকাশ্য দিগন্তে দেখেছেন।"
:
[সূরা তাকভীর, আয়াত :23]
:
:
@ রাসূল (সাঃ) ফেরেস্তা দেখতেই পারেন , কারণ তিনি ছিলেন রাসূল আর নবী-রাসূলের কাছে ফেরেস্তা আগমণ করে,
:
এ আয়াত দিয়ে কীভাবে প্রমাণ হয় যে, রাসূল (সাঃ) গায়েব জানতেন ??
:
:
@ মহান আল্লাহ বলেন :
:
1/ " আপনি বলে দিন, আমি আমার নিজের কল্যাণ সাধনের এবং অকল্যাণ সাধনের মালিক নই, কিন্তু যা আল্লাহ চান।
.
আর আমি যদি গায়বের কথা জেনে নিতে পারতাম, তাহলে বহু মঙ্গল অর্জন করে নিতে পারতাম, ফলে আমার কোন অমঙ্গল কখনও হতে পারত না। আমি তো শুধুমাত্র একজন ভীতি প্রদর্শক ও সুসংবাদদাতা ঈমানদারদের জন্য। "
:
:
[সূরা আল আ’রাফ , আয়াত সংখ্যা : 188]
:
:
2/ " বলুন, আল্লাহ ব্যতীত নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে কেউ গায়বের খবর জানে না এবং তারা জানে না যে, তারা কখন পুনরুজ্জীবিত হবে। "
:
[সূরা নমল, আয়াত সংখ্যা : 65]
:
:
@ অতএব কুরআনের আয়াত অনুযায়ী বুঝা যায়, রাসূল (সাঃ) গায়েব জানতো না,
:
মহান আল্লাহ রাসূল (সাঃ) কে যতটুকু জানাতেন, তিনি ততটুকুই জানতেন,
:
:
:
:
3 নং অংশের ক্ষেত্রে যুক্তি :
:
@ তাদের মতে নবী (সাঃ) নাকি হাজির নাজির, দলিল হল (সূরা আহযাব, আয়াত : 45)
:
:
মহান আল্লাহ বলেন :
:
" হে নবী! আমি আপনাকে সাক্ষী, সুসংবাদ দাতা ও সতর্ককারীরূপে প্রেরণ করেছি। "
:
[সূরা আল আহযাব, আয়াত সংখ্যা : 45]
:
:
@ এ আয়াত কি তাদের যুক্তি প্রমাণ করে ??
:
রাসূল (সাঃ) কে আল্লাহ রাসূল হিসেবে প্রেরণ করেছেন এবং তিনি এসেছেন 1400 বছর আগে,
:
এখানে সে সময়ে আগমণকেই বুঝানো হচ্ছে,
:
:
:
4 নং অংশের যুক্তি : মিলাদ নাকি জায়েয,
:
@ এখন দেখবো, ঐ আয়াতে কী আছে,
:
মহান আল্লাহ বলেন :
:
" আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাগণ নবীর প্রতি রহমত প্রেরণ করেন। হে মুমিনগণ! তোমরা নবীর জন্যে রহমতের তরে দোয়া কর এবং তাঁর প্রতি সালাম প্রেরণ কর। "
:
[সূরা আল আহযাব, আয়াত সংখ্যা : 56]
:
:
এই আয়াত কীভাবে মিলাদকে সমর্থন করে ?
:
আপনারাই বলুন, মিলাদ যেখানে শেখ সাদির কবিতা
:
--- " বালাগাল উলা বি কামালিহী " -
পড়ে শুরু করা হয়, 😎
:
:
আমরা নামজে দরূদে ইব্রাহিম পড়ি, এর মাধ্যমে রাসূল সাঃ এর জন্য দু'আ করি,
:
:
তবে মিষ্টি বিতড়ন করা, শেখ সাদির কবিতা পড়া,
:
--- এগুলোতো বিদাত,
:
:
:
No comments:
Post a Comment