সূরা আল হাদীদ,সূরা আল হাদীদ লৌহ/ইস্পাত

সূরা আল হাদীদ
লৌহ/ইস্পাত

1
আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে তার সব কিছুই আল্লাহ তা'য়ালার পবিত্রতা ও মাহাত্ম্য ঘোষণা করছে, তিনি মহাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময় ।

2
আসমানসমূহ ও যমীনের বাদশাহীর মালিকানা শুধু তারই জন্য, তিনি জীবন দান করেন তিনিই মৃত্যু ঘটান,তিনি সব কিছুর উপর চুড়ান্ত ক্ষমতাবান ।

3
তিনি আদি , তিনি অনন্ত , তিনি প্রকাশ্য , তিনি গোপন এবং তিনি সর্ব বিষয়ে সম্যক অবগত ।

4
তিনি হচ্ছেন সেই মহান সত্তা , যিনি ছয় দিনে আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টি করেছেন , অতঃপর তিনি তার আরশে সমাসীন হন , তিনি জানেন - যা কিছু এই ভূমির ভেতরে প্রবেশ করে , আবার যা কিছু ভূমি থেকে বেরিয়ে আসে , আসমান থেকে যা বর্ষিত হয় তা যেমন তিনি জানেন - আবার আসমানের দিকে বাষ্প আকারে যা কিছু উঠে আসে তাও তিনি অবগত আছেন, তোমরা যেখানে থাকোনা কেন তিনি তোমাদের সাথেই আছেন, তোমরা যা কিছু করছো আল্লাহ তা'য়ালা তার সব কিছুই দেখছেন ।

5
আসমানসমূহ ও যমীনের সার্বভৌমত্ব তার জন্যই কারণ প্রতিটি বিষয়কে তার দিকেই ফিরিয়ে নেয়া হবে ।

6
তিনি রাতকে মিশিয়ে দেন দিনের সাথে , আবার দিনকে মিশিয়ে দেন রাতের সাথে। তিনি মনের যে কোন লুকিয়ে থাকা বিষয় সম্পর্কেও সম্যক অবগত রয়েছেন।

7
হে মানুষ তোমরা ঈমান আনো আল্লাহ তা'য়ালার উপর ও তাঁর রাসূলের উপর ।
আল্লাহ তা'য়ালা তোমাদের যে সম্পদের উপর অধিকারী বানিয়েছেন তা থেকে তারই পথে তোমরা ব্যয় করো , অতঃপর তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান আনবে এবং আল্লাহ্‌র নির্ধারিত পথে অর্থ ব্যয় করবে জেনে রেখো তাদের জন্য রয়েছে এক মহা পুরুষ্কার ।

8
তোমাদের এ কী হলো । তোমারা কেন আল্লাহ তা'য়ালার উপর ঈমান আনছোনা ? বিশেষ করে যখন স্বয়ং আল্লাহ তা'য়ালার রসূল তোমাদের ডাক দিয়ে বলেছেন - তোমরা তোমাদের মালিকের উপর ঈমান আনো এবং তিনি তো এই মর্মে তোমাদের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতিও আদায় করে নিয়েছেন , যদি তোমরা সত্যিই ঈমানদার হও তাহলে সেই প্রতিশ্রুতি স্মরণ করো ।

9
তিনিই সে মহান সত্তা , যিনি তাঁর বান্দার উপর সুস্পষ্ট আয়াত নাজিল করেছেন, যেন তিনি তোমাদের জাহিলিয়াতের অন্ধকার থেকে ঈমানের আলোর দিকে বের করে আনতে পারেন, আল্লাহ তা'য়ালা সত্যিই প্রতি পরম দয়ালু ও একান্ত করুণাময় ।

10
তোমাদের এ কি হলো তোমরা কেন আল্লাহ তা'য়ালার পথে অর্থ ব্যয় করতে চাওনা - অথচ আসমানসমূহ ও যমীনের সব কিছুর মালিকানা এক আল্লাহ তা'য়ালার জন্যই । তোমাদের মধ্যে তারা কখনো একই মর্যাদার অধিকারী হবে না, যারা বিজয় সাধিত হওয়ার আগে আল্লাহ তা'য়ালার পথে ব্যয় করেছে এবং ময়দানে সংগ্রাম করেছে , তাদের মর্যাদা তাদের তুলনায় অনেক বেশী , যারা বিজয় সাধিত হবার পর আল্লাহ তা'য়ালার পথে অর্থ ব্যয় করেছে এবং জিহাদে অংশ গ্রহণ  করেছে । অবশ্য আল্লাহ তা'য়ালা এদের সবাইকেই উত্তম পুরুষ্কার প্রদানের ওয়াদা দিয়েছেন, মূলত তোমরা যা কিছুই করো আল্লাহ তা'য়ালা সে সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ জ্ঞাত রয়েছেন ।

11
কে আছে যে ব্যক্তি আল্লাহকে ঋণ দেবে - এমন উত্তম ঋণ , যার বিনিময়ে আল্লাহ তা'য়ালা পরকালে তাকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিবেন , তার জন্যে থাকবে আরো বড়ো ধরনের পুরুষ্কার।

12
যেদিন তুমি দেখতে পাবে ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার মহিলারা এগিয়ে চলেছে , তাদের সামনে দিয়ে এবং তাদের ডান পাশ দিয়ে নূরের এক জ্যোতিও সাথে সাথে এগিয়ে চলেছে , তাদের উদ্দেশ্যে বলা হবে আজ সুসংবাদ তোমাদের জন্য আর সে সুসংবাদ হচ্ছে জান্নাতের, যার পাদদেশ দিয়ে সুপ্রিয় ঝর্ণাধারা বইতে থাকবে । সেখানে তোমরা অবস্থান করবে অনন্তকাল ধরে , আর এটাই হচ্ছে চরম সাফল্য ।

13
সেদিন মুনাফিক পুরুষ ও মুনাফিক নারীরা ঈমানদারদের বলবে তোমরা আমাদের দিকে একটু তাকাও। যাতে করে আমরাও তোমাদের নূর থেকে কিছুটা হলেও আলো গ্রহণ করতে পারি, তাদের বলা হবে , তোমরা আজ পিছনে সরে দাঁড়াও এবং পারলে সেখানে গিয়ে আলোর সন্ধান করো , অতঃপর এদের উভয়ের মাঝখানে একটি প্রাচীর দাঁড় করিয়ে দেয়া হবে এতে একটি দরজাও থাকবে যার ভেতরের  অংশে থাকবে আল্লাহ তা'য়ালার রহমত , আর বাহিরের দিকে থাকবে ভয়াবহ আযাব ।

14
তখন মুনাফিকদের দল ঈমানদারদের ডেকে বলবে , আমরা কি দুনিয়ার জিবনে তোমাদের সাথী ছিলাম না , তারা বলবে , হ্যাঁ অবশ্যই ছিলে তবে তোমরা নিজেরাই নিজেদের গোমরাহির বিপদে বিপদগ্রস্থ করে দিয়ে ছিলে , তোমরা সব সময় সুযোগের অপেক্ষায় থাকতে নানা রকমের সন্দেহ পোষণ করতে , আসলে দুনিয়ার মোহ তোমাদের সব সময় প্রতারিত করে আসছিলো , আর এভাবে একদিন তোমাদের ব্যাপারে আল্লাহর পক্ষ থেকে মৃত্যুর ফয়সালা এসে হাজির হলো এবং প্রতারক শয়তান তোমাদের আল্লাহ তা'য়ালা সম্পর্কেও ধোঁকায় ফেলে রেখেছিলো ।

15
আজ আযাব থেকে বাঁচানোর জন্য তোমাদের কাছ থেকে কোন প্রকার মুক্তিপণ গ্রহণ করা হবে না । যারা আল্লাহ তা'য়ালা ও তাঁর রাসূলকে অস্বীকার করেছে, তাদের কাছ থেকেও কোন প্রকার বিনিময় উসুল করে তাদের ছেড়ে দেয়া হবে না । আজ তোমাদের উভয়ের ঠিকানা হবে জাহান্নামের আগুন, আর এই আগুনই হবে এখানে তোমাদের একমাত্র সাথী , কতো নিকৃষ্ট তোমাদের এই পরিনাম ।

16
ঈমানদারদের জন্য এখনো কি সেই ক্ষনটি এসে পৌঁছুইনি যে আল্লাহর আযাবের স্মরণে তাদের অন্তরকরণসমূহ বিগলিত হয়ে যাবে এবং আল্লাহ তা'য়ালা যা কিছু নাজিম করেছেন তার সামনে তারা আনুগত্যের মাথা নত করে দেবে । তারা কখনোই তাদের মত হবে না , যাদের কাছে এর আগে আল্লাহ তা'য়ালার কিতাব নাজিল করা হয়েছিল, অতঃপর তাদের উপর এক দীর্ঘ কাল অতিবাহিত হয়ে গেলো যার ফলে তাদের মনও কঠিন হয়ে গেলো , এদের মধ্যে এক বিরাট অংশ না-ফরমানই থেকে গেলো ।

17
তোমরা জেনে রেখো যে আল্লাহ তা'য়ালাই এই ভূমিকে তার মৃত্যুর পর পুনরায় জীবন দান করেন । অবশ্যই আমি আমার যাবতীয় নিদর্শনকে তোমাদের জন্য খুলে খুলে বর্ণনা করেছি , যাতে তোমরা অনুধাবন করতে পারো ।

18
যে সব পুরুষ ও নারী অকাতরে আল্লাহ তা'য়ালার পথে দান করে এবং আল্লাহকে উত্তম ঋণ প্রদান করে , তাদের সে ঋণকে আল্লাহ তা'য়ালার পক্ষ থেকে বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়া হবে , উপরন্তু তাদের জন্য থাকবে আরো সম্মানজনক পুরুষ্কার।

19
আর যারা আল্লাহ্‌র উপর ঈমান এনেছে - ঈমান এনেছে তার রাসূলের উপর, তারাই হচ্ছে যথার্থ সত্যবাদী, তারা তাদের মালিকের সামনেও এ সত্যতার সাক্ষ্য প্রদান করবে , তাদের সবার জন্য  রয়েছে তাদের মালিকের পক্ষ থেকে পুরুষ্কার এবং তাদের নিজেদের নূর- ও তাদের সাফল্যের প্রমাণ বহন করবে , অপরদিকে যারা আমাকে অস্বীকার করেছে এবং আমার নিদর্শনসমূহকে মিথ্যা সাব্যস্ত করেছে তারা হবে জাহান্নামের বাসিন্দা ।

20
তোমরা জেনে রেখো, এ পার্থিব জীবন্ত খেলাধূলা, জাঁকজমক প্রদর্শন, পরস্পর অহংকার প্রদর্শনের প্রতিযোগীতা , ধন সম্পদ ও সন্তান সন্তুতি বাড়ানোর চেষ্টা সাধন ছাড়া আর কিছুই নয় - এ যেন আকাশ থেকে বর্ষিত এক পশলা বৃষ্টি, যার উৎপাদিত ফসলের সমাহার কৃষকের মনকে খুশিতে ভরে দেয় , অতঃপর ঘরে তোলার উপযোগী হলে একদিন তা শুকিয়ে যায় এবং আস্তে আস্তে তুমি দেখতে পাও যে , তার হলুদ রং ধারণ করতে শুরু করেছে, অতঃপর তা অর্থহীন খড় কুটায় পরিনত হয়ে যায় , কাফিরদের জন্যে পার্থিব জীবনের চেষ্টা সাধনা এমনি এক অর্থহীন কর্মকান্ড ছাড়া কিছুই নয়,আর পরকালের জীবনে তাদের জন্য থাকবে কঠোর আযাব এবং ঈমানদারদের জন্যে থাকবে আল্লাহর পক্ষ থেকে তার ক্ষমা ও সন্তুষ্টি । সত্যি কথা হচ্ছে এই জীবন কতিপয় ধোঁকা প্রতারণার সামগ্রী বৈ কিছুই নয় ।

21
অতএব, এ সব অর্থহীন প্রতিযোগীতা বাদ দিয়ে তোমরা তোমাদের মালিকের পক্ষ থেকে সেই প্রতিশ্রুত ক্ষমা ও চিরন্তন জান্নাত পাওয়ার জন্যে একে অন্যের সাথে প্রতিযোগীতা করো,এমন জান্নাত যার আয়তন আসমান যমীনের সমান প্রশস্ত, তাকে প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে সে সব মানুষদের জন্যে -যারা আল্লাহ তা'য়ালা ও তাঁর পাঠানো রাসূলের উপর ঈমান এনেছে, মূলত এ হচ্ছে আল্লাহ তা'য়ালার এক অনুগ্রহ, যাকে তিনি চান তাকেই তিনি এই অনুগ্রহ প্রদান করেন, আর আল্লাহ তা'য়ালা হচ্ছেন মহা অনুগ্রহশীল।

22
সামগ্রিকভাবে সারা বিশ্বের উপর কিংবা ব্যক্তিগতভাবে তোমাদের কারো উপর যখনি কোন বিপর্যয় আসে তখন তোমাদের জানা উচিত যে , তাকে আবার সংঘটিত করার বহু আগেই তার বিবরণ একটি গ্রন্থ লিখে রাখা হয়েছে , আর আল্লাহ তা'য়ালার জন্যে এই কাজটি অত্যন্ত সহজ ।

23
এজন্যে যাতে করে তোমাদের কাছ থেকে যা কিছু সুযোগ সুবিধে হারিয়ে গেছে তার জন্যে তোমরা আফসোস না করো আল্লাহ তা'য়ালা তোমাদের যা কিছু দিয়েছেন তাতেও যেন তোমরা আত্মহারা না হও । আল্লাহ তা'য়ালা এমন সব লোকদের ভালোবাসেন না যারা উদ্ধত্য ও অহংকার প্রদর্শন করে ।

24
আল্লাহ তা'য়ালা তাদেরও ভালোবাসেন না যারা নিজেরা কার্পণ্য করে , আবার অন্যদেরও কার্পণ্য করার আদেশ দেয় । যে ব্যক্তি জেনে বুঝে আল্লাহ তা'য়ালার হুকুম থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় তার জানা উচিত আল্লাহ তা'য়ালা কাহারো মুখাপেক্ষী নন এবং তিনি মহান প্রশংসায় প্রশংসিত ।

25
আমি অবশ্যই আমার রাসূলদের কতিপয় সুস্পষ্ট নিদর্শন সহ মানুষদের কাছে পাঠিয়েছি । আমি তাদের সাথে কিতাব পাঠিয়েছি - আরো পাঠিয়েছি আমার পক্ষ থেকে এক ন্যায় দন্ড, যাতে করে মানুষ এর মাধ্যমে ইনসাফের উপর কায়েম হতে পারে, তাদের জন্যে আমি লোহা নাজিল করেছি যার মধ্যে একদিকে যেমন রয়েছে শক্তি - অন্য দিকে রয়েছে মানুষের বহুবিধ উপকার । এসব কিছুর উদ্দেশ্য হচ্ছে, এর মাধ্যমে আল্লাহ তা'য়ালা জেনে নিতে চান যে , কে আল্লাহ তা'য়ালা ও তাঁর রাসূলকে না দেখেও সাহায্য করতে এগিয়ে আসে । বস্তুত আল্লাহ তা'য়ালা প্রচন্ড শক্তিমান ও মহা পরাক্রমশালী ।

26
আমি নূহ ও ইবরাহীমকে আমার রাসূল হিসেবে প্রেরণ করেছি এবং তাদের উভয়ের বংশধরদের মাঝে আমি নবুওত ও কিতাব প্রেরণের ব্যবস্থা করে রেখেছি , অতঃপর তাদের মাঝে কিছু কিছু লোক সঠিক পথ অবলম্বন করেছে, অবশ্য তাদের অধিকাংশ লোকই ছিলো না-ফরমান ।

27
অতঃপর তাদের বংশে একের পর এক আমি অনেক রাসূলই প্রেরণ করেছি , পরে আমি মারইয়াম পুত্র ঈসাকে রসূল বানিয়ে পাঠিয়েছি , তাকে আমি হেদায়েত এর গ্রন্থ ইন্জিল দান করেছিলাম, যারা তার আনুগত্য করেছে তাদের মনে তার প্রতি দয়া ও করুণা দান করেছিলাম। তার অনুসারীদের অনুসৃত সন্যাসবাদ। আসলে তারা নিজেরাই এর উদ্ভব ঘটিয়েছে , আমি কখনো একে তাদের জন্য নির্ধারণ করিনি , আমি তাদের শুধু বলেছিলাম আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্যে নাবীর আনুগত্য করতে , অতঃপর তারা এর যথাযথ হক্ব আদায় করেনি। অবশ্য তাদের মধ্যে যারা ঈমান এনেছে, তাদের আমি যথার্থ পুরুষ্কারই দিয়েছি , কিন্তু তাদের অধিকাংশই ছিল না-ফরমান ।

28
হে ঈমানদার বান্দারা , তোমরা আল্লাহ তা'য়ালাকেই ভয় করো এবং তার প্রেরিত রাসূলের উপর ঈমান আনো , এর ফলে আল্লাহ তা'য়ালা তোমাদের তার দ্বিগুণ অনুগ্রহে ভূষিত করবেন, তিনি তোমাদের জন্যে স্থাপন করবেন সেই আলো , যার সাহায্যে তোমরা পথ চলতে সক্ষম হবে , তিনি তোমাদের যাবতীয় গুনাহ খতা মাফ করে দিবেন , আল্লাহ তা'য়ালা অবশ্যই ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু ।

29
আহলে কিতাবরা যেন একথাটা ভালো করে জেনে নিতে পারে যে , আল্লাহ তায়ালার সামান্যতম অনুগ্রহের ওপরও তাদের কোন অধিকার নেই । যাবতীয় অনুগ্রহ তো আল্লাহ তা'য়ালার হাতেই , তিনি যাকে ইচ্ছা তাকেই এই অনুগ্রহ দান করেন, মূলত আল্লাহ তা'য়ালাই মহান অনুগ্রহশীল।

ভাবতে থাকুন, বুঝার চেষ্টা করুন ।
💝💝💝💝💝💝💝💝💝💝।

No comments:

Post a Comment

Popular Posts

একটু চিন্তা করুন ।

                      أعوذ بالله من الشيطان الرجيم                           بسم الله الرحمن الرحيم                 সকল মুসলিম ভাই বোন ক...

Search This Blog

Followers